নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা কম হওয়ায় নদ-নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যধখ বুধবার সকালে সুরমা, কুশিয়ারা, সারীগোয়াইন নদীর পানি ৬টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। তবে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত না হলেও আতঙ্ক রয়েছে পানিবন্দী মানুষের মাঝে।
সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকায় সিলেট নগরী ও আশপাশের বেশ কয়েকটি উপজেলার নদীতীরবর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত। সিলেট নগরীর ব্যবসার প্রধানকেন্দ্র কালিঘাটের বিভিন্ন গুদামে পানিতে তলিয়ে গেছে মালামাল। এছাড়া তালতলায় ফায়ারসার্ভিস স্টেশনও পানিতে তলিয়ে রয়েছে। পাশাপাশি নগরীর উপশহর, তালতলা, জামতলা, বাগবাড়ি, শামীমাবাদ, ঘাসিটুলা, যতরপুর, তেররতনসহ বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানিতে নিমজ্জিত।
এদিকে বন্যায় পানিবন্দী বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফাঁকা পড়ে আছে। নদীতীরবর্তী বিভিন্ন গুদামে পানি প্রবেশ করায় মালামাল স্থানান্তর করেছেন ব্যবসায়ীরা। ভারত থেকে নেমে আসা উজানের পাহাড়ি ঢলের পানিতে আটকে পড়া বন্যাকবলিতদের উদ্ধার করছে উপজেলা প্রশাসন। পানিবন্দী মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশু নিরাপদ স্থানে নেওয়া হচ্ছে রেসকিউ বোটে করে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেছেন, বিভিন্ন স্থানে পানিতে আটকে পড়া মানুষ জাতীয় জরুরী সেবা নাম্বারে ফোন দিলে, আমরা তাৎক্ষনিক রেসকিউ বোট দিয়ে তাদেও উদ্ধার করছি। শুধু মানুষজনই না, গবাদিপশু উদ্ধার করে নিরাপদস্থানে নিচ্ছি আমরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানিয়েছেন, সিলেট ও কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি, জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুরে কুশিয়ারা নদীর পানি এবং সারিঘাটে সারিগোয়াইন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, ২৪ ঘন্টায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে। বুধবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
Leave a Reply